রংপুর সিটি করপোরেশনের অনুপস্থিত ছয় থেকে সাত কাউন্সিলরদের স্থলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করছেন। আজ শনিবার বিকেলে সিটি করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান এ তথ্য জানান। এ ছাড়া নাগরিকেরা যাতে সহজে সেবা পান, সে জন্য হটলাইন নম্বর চালু করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) মৌসুমী আফরিদা, বর্তমান প্যানেল মেয়র ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু হাসান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন পারভেজ, সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসনা বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তী সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন থেকে মেয়রদের অপসারণ করে। মেয়রের অবর্তমানে সরকারি নির্দেশে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে রংপুর সিটি করপোরেশনে ২০ কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকছেন বলে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদ প্রকাশকে তথ্যগত ভুল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলে ৪৪ কাউন্সিলর আছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছয় থেকে সাত সাধারণ কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকছেন। তাঁরা বিভিন্ন মামলায় আসামি হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন। কিন্তু তাঁদের অনুপস্থিতিতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের এলাকায় সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পাশাপাশি প্যানেল মেয়রও দেখভাল করছেন। ইতিমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন সিটির প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর নাগরিক সেবা সহজীকরণসহ মুঠোফোনে তথ্য পেতে হটলাইন নম্বর (রংপুর সিটি করপোরেশন) ০১৩৩২৫৬৬৩০১, ০১৩৩২৫৬৬৩০২, ০১৩৩২৫৬৬৩০৩ চালু করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ, বিদ্যুৎ ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ অন্যান্য সেবাসংক্রান্ত তথ্য পেতে হটলাইন নম্বরে ফোন করতে পারবেন সিটির বাসিন্দারা। সবার সম্মিলিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় নাগরিক সেবার কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।