সড়কের সব স্থান থেকে এখনো সরানো হয়নি সেই সাদা রঙের পাউডারচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়কের সীতাকুণ্ড অংশ থেকে অজানা সাদা পাউডারের স্তূপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম নগর অংশের তিনটি স্থানে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেখা গেছে পদার্থটি। এসব স্থানে গাড়ি চলাচলের সময় সাদা পাউডার সড়কের ওপর উড়ছিল। সড়কটির বেশির ভাগ অংশ থেকে অজানা পাউডার সরিয়ে ফেলার দাবি করেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে দেখা যায়, ১২ কিলোমিটার ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের প্রায় ১০টি স্থানে সাদা রঙের পাউডার স্তূপ দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে সাতটি স্থানে সড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এসব পাউডার। তবে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানাধীন উত্তর হালিশহর এলাকার তিনটি স্থানে পাউডারগুলো সড়কের ওপর রয়ে গেছে। লতিফপুর অংশে থাকা দুটি পাউডারের স্তূপ সড়কের ওপর থেকে পাশে সরিয়ে খর-কুটো দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
লতিফপুর এলাকার দোকানি মোহাম্মদ সজিব হোসেনের বলেন, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে সাদা রঙের পাউডারগুলো রেখেছিল—তা তাঁরা দেখেননি। আবার কারা সেগুলো সরিয়ে নিয়েছেন, তা–ও দেখেননি। গতকাল বুধবার সকালে এসে দেখতে পান তার দোকানের কাছাকাছি থাকা পাউডারগুলো সড়কের ওপর নেই।
তবে উত্তর হালিশহরে সড়কের ওপর পাউডার ছড়িয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্যারেজ মিস্ত্রি মো. শাওন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গাড়িগুলো থামার সঙ্গে সঙ্গে পাউডার উড়ে এসে তাঁদের গায়ে পড়ে। দিন শেষে পুরো গ্যারেজ আশপাশের দোকান ও গাছপালা সাদা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক ভেঙে গেলে, তা সংস্কার করা সওজের কাজ। এ ছাড়া সড়কের ওপর লতাপাতা কিংবা গাছের ডালপালা এলে সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাটাও কাজ। কিন্তু মানবসৃষ্ট এ আবর্জনা পরিষ্কার করা তাদের কাজ নয়। জনবলসংকট থাকা সত্ত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে যতটুকু সম্ভব পাউডারগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যাঁরা এই সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে অজানা পাউডারের এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এগুলো শনাক্তের পাশাপাশি প্রকৃতি জানতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা জন্য নমুনা পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এখনো পাউডারগুলোর নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। আজ বিকেলের দিকে তিনি খবর নিয়ে পরীক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে জানানোর কথা বলেছেন।
এদিকে অজানা পাউডারের এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এগুলো শনাক্তের পাশাপাশি প্রকৃতি জানতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা জন্য নমুনা পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এখনো পাউডারগুলোর নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। আজ বিকেলের দিকে তিনি খবর নিয়ে পরীক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে জানানোর কথা বলেছেন।