গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার কাজিরহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ফারুক মোল্যা (৪০)। হত্যাকাণ্ডের শিকার বাবার নাম হানিফ মোল্যা (৮৫)। তিনি জাজিরার ডুবিসায়বর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হানিফ মোল্যা স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জাজিরার ডুবিসায়বর এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর ছেলে ফারুক মোল্যা মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মা–বাবার কাছ থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার ফারুক তাঁর বাবা হানিফ মোল্যার কাছে ২০ হাজার টাকা চান। ছেলেকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান হানিফ। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুক একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে তাঁর বাবাকে পেটাতে থাকেন। মাথায় আঘাত পেয়ে হানিফ আহত হন। এ সময় ফারুক তাঁর মা গোলাপ জান ও বোন পারুল আক্তারকেও পিটিয়ে আহত করেন। অন্য স্বজনেরা তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা হানিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে হানিফ মোল্যা মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত হানিফের স্ত্রী গোলাপ জান গতকাল শনিবার বিকেলে জাজিরা থানায় ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর গতকাল রাত নয়টার দিকে কাজিরহাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত হানিফের ভাগনি আলেয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ফারুক মোল্যা মালয়েশিয়া ছিলেন। সেখানে বিয়ে করেছিলেন। পরে অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পর কোনো কাজকর্ম না করে বসে বসে দিন পার করা শুরু করেন। আর কোনো টাকাপয়সার প্রয়োজন হলে মামা–মামির কাছে চাইতেন। তাঁরা ছেলের আবদার পূরণ করতে না পারলে ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুক মোল্যা ঘরে ভাঙচুর চালাতেন এবং মামা–মামির সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন।