সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হরিণ শিকার না করার জন্য শপথ করে এবং লিখিত দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ২৪ জন শিকারি।
আজ সোমবার দুপুরে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয়ে বন কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের অপরাধ শিকার করে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় হরিণ শিকারে ব্যবহৃত বেশ কিছু ফাঁদ জমা দেন তাঁরা।
আত্মসমর্পণের সময় সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য আতাউল হক, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, আত্মসমর্পণকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার ও কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকারসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। বন কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অপরাধের শাস্তি, হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সুদূরপ্রসারী কুফল বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে তাঁরা অনুতপ্ত হয়ে বন কর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।