মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরঙ্গাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৪ সালে বরঙ্গাইল গ্রামে কবর দেওয়ার জন্য জমি দান করেন আখতারুজ্জামান বাবুল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরের বছর থেকে সেখানে মরদেহ দাফন শুরু হয়। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে বরঙ্গাইল গ্রামের এক নারী সেখানে তাঁর ছেলের কবর জিয়ারত করতে যান। তখন তিনি দেখেন ওই কবরের আংশিক খোঁড়া রয়েছে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর কবরস্থান কমিটি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও শিবালয় থানা-পুলিশকে জানায়।
কবরস্থান দেখভালকারী আবদুর রফিক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি কবরস্থানে যান। তিনি আটটি কবর পূর্ণাঙ্গ খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১৪টি কবর আংশিক খোঁড়া রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ খোঁড়া চারটি কবরে কোনো কঙ্কাল পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, ওই আটটি কবরের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এসব কবরে ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে লাশ দাফন করা হয়েছে।
কবরস্থানের জমিদাতা আখতারুজ্জামান বাবুল বলেন, কবরস্থান থেকে আটটি কবরের কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন। কবর থেকে কঙ্কাল চুরি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আজ বেলা ১১টার দিকে শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশিদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কবরস্থানে গিয়ে বেশ কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখা গেছে। তবে সে সব কবর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কতগুলো কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে, তা তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।
কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কবরের নিরাপত্তা নিয়েও স্বজনেরা শঙ্কায় আছেন। এর আগে ২০২২ সালের ১০ আগস্ট রাতে শিবালয় উপজেলার বড় বোয়ালী গ্রামে কবরস্থান থেকে ছয়টি এবং একই রাতে উপজেলার কাতরাসিন দক্ষিণপাড়া কবরস্থান থেকে একটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০২২ সালে ৩০ মার্চ রাতে পাশের ঘিওর উপজেলার ধুলন্ডী গ্রামে কবরস্থান থেকে ৯টি কঙ্কাল চুরি হয়।