ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় এবং মুঠোফোন নিয়ে কেন্দ্রে আসায় পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁদের মধ্যে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার দায়ে তিনজনকে এবং মুঠোফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করায় দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের আলামিন মিয়া (২৮) ও নজরুল ইসলাম (৩২) এবং আশুগঞ্জের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম (৪০), তামিম সরকার (২৪) ও পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমান (৩৮)।
সকাল আটটা থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার সময় আলামিন মিয়া ও নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৭১(চ) ধারায় দুজনকে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিষেধ সত্ত্বেও মুঠোফোন সঙ্গে রাখায় এক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) হাতেনাতে আটক করা হয়।
একই উপজেলার আন্দিদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে গোপন কক্ষে ব্যালটের ছবি তোলায় তামিম সরকারকে (২৪) আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ডবিধির ১৮৬০–এর ১৮৮ ধারায় মাহবুবুর ও তামিমকে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের চেষ্টাকালে জহুরুল ইসলাম (৪৮) নামে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ইকরামুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ব্যক্তিকে দণ্ডবিধির ১৮৬০–এর ১৭১-চ ধারায় চার দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।