ফেনীতে অনুমোদনহীন একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ফেনী শহরের দাউদপুর এলাকায় ‘আল মদিনা’ নামের ওই হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর মৃত্যুর পর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠলে এ অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুভল চাকমা। এ সময় জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষে চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) আশিকুদ্দোলা, ফেনী সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ছিলেন চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) যোবায়ের ইবনে খায়ের। ফেনী মডেল থানা–পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাসুদ রানা বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় একটি শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রক্ষিতে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় দেখা যায়, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো অনুমোদন নেই। এ ছাড়া হাসপাতালের অভ্যন্তরে অস্ত্রোপচারকক্ষ (ওটি), প্যাথলজি ও ওয়ার্ডে নানা অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান। এরপর সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি দাউদপুর এলাকায় কাঁচাবাজার সবজির আড়তের পাশে ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। শনিবার ওসমান গনি (৫) নামের একজন শিশুকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ তুলে স্বজনেরা কর্তব্যরত চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা–পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজুর রহমান।
অনুমোদন না থাকার বিষয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ব্যবসায় নতুন। তবে অনুমোদন বা সনদের বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাসুদ রানা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে তাঁরা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অনুমোদনহীন হাসপাতালটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।