কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির সদস্যসচিব একাডেমিক শাখার সাব-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খান এসে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদন সিলগালা করা আছে। এটি হাইকোর্টে আজকের মধ্যে পাঠানো হবে।
এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি রেবা মণ্ডল। ১৫ ফেব্রুয়ারি গঠন করা এ কমিটিতে সদস্য আছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ইয়াসমিন আরা ও সহকারী প্রক্টর মুর্শিদ আলম। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। আজ ছিল প্রতিবেদন জমার শেষ দিন।
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ রোববার। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁকে ক্যাম্পাসে ডাকছেন। তবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন না ফুলপরী।
এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সি কামরুল হাসান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু ফুলপরীর সঙ্গে কথা বলবেন। ফুলপরী আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁর সঙ্গে অনলাইনে কথা বলা হবে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠানো হবে।