ঢাকার ধামরাই ও সাভার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাভারের ব্যাংক কলোনি ও ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান (৫৪), কুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান (৪৫) ও সাভারের ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি রনি ভূঁইয়া (৩০)। লুৎফর ও হাফিজুরকে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে এবং রনি ভূঁইয়াকে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ধামরাই পৌরসভা এলাকায় বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লুৎফর রহমান ও হাফিজুর রহমান জড়িত বলে অভিযোগ আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লুৎফর ও হাফিজুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রভাব বিস্তার করে আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে র্যাব-৪ ও র্যাব-১–এর একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে রনি ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি ভূঁইয়া আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
র্যাব-৪–এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে দুজন ও উত্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।