কুষ্টিয়ায় লুটপাটের পর এবার আওয়ামী লীগ নেতার দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। দোকানের জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা আছে। গতকাল বুধবার ওই দোকানের পুরোনো তালা ভেঙে নতুন করে ১০টি তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।
কুমারখালী পৌরসভার সোনাবন্ধু সড়কে অবস্থিত সোনালী হস্তশিল্প নামের ওই দোকানের মালিক মো. জসিম উদ্দিন। তিনি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭ সালে ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিরাজুন্নাহার নামের একজনের কাছ থেকে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ জমি কিনে তিনি দোকানটি তৈরি করেন। ওই জমির পজিশন দাবি করে নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুরোনো চড়াইকোল এলাকার আব্দুল মজিদ আদালতে মামলা করেন। মামলা চলমান অবস্থায় জোর করে দখলের উদ্দেশ্যে গতকাল সন্ধ্যায় দোকানের তালা ভেঙে ১০টি নতুন তালা লাগিয়েছেন আবদুল মজিদ। রাতেই তাঁর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সোনাবন্ধু সড়কের একজন দোকানি বলেন, কুমারখালীর বড় দোকানগুলোর একটি সোনালী হস্তশিল্প। দোকানের জমি নিয়ে ঝামেলা আছে। গতকাল মজিদ পুরোনো তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়েছে। ৫ আগস্ট ব্যাপক লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
কুমারখালী পৌর বণিক সমিতির সভাপতি কে আলম টমে বলেন, আওয়ামী লীগপন্থী হওয়ায় ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা দোকানটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তবে দোকানটির জমি ও পজিশন মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা আছে।
তালা ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।