অবৈধ স্থাপনা ও বসতী উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা দেয়। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ লেক সিটি এলাকায়
অবৈধ স্থাপনা ও বসতী উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা দেয়। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ লেক সিটি এলাকায়

চট্টগ্রামে উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয়দের বাধা, পরিবেশকর্মীকে মারধর

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার লেক সিটি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় লোকজন বাধা দিয়েছেন। উচ্ছেদ চলাকালে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় এক পরিবেশকর্মীর ওপর চড়াও হন। আজ বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে লেক সিটি আবাসিক এলাকায় কালিরছড়া খাল উদ্ধারে অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। ১৭ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় লেক সিটি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সকাল থেকে লেক সিটি এলাকায় কালিরছড়া খাল দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্থাপনা উচ্ছেদের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন দল বেঁধে এসে ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকীকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী শফিকুল ইসলামকে মারধর করেন স্থানীয় লোকজন। শফিক দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহসম্পাদক, পাশাপাশি পরিবেশ কর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি। পাহাড় দখল করে গড়ে ওঠা দখলদারদের বিরুদ্ধে শফিক সোচ্চার।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় লোকজন বাধা দিয়েছেন। তবে এর আগে বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বেলার সমন্বয়ক মনিরা পারভীন উচ্ছেদ অভিযানে রয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজন এসে উচ্ছেদে বাধা দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা শফিককে মারধর করেন।