জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় রশি ধরে পথরোধের পর চালকদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে তিনটি অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার ভোরে আক্কেলপুর-তিলকপুর সড়কের কাদোয়া বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার অটোরিকশার চালকেরা হলেন আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামশালা গ্রামের মো. আবু সাঈদ, খলিলুর রহমান ও তিলকপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আবু সাঈদ ও খলিলুর রহমান বেগুন নিয়ে নওগাঁয় এবং আশরাফুল ইসলাম তুষ নিয়ে আক্কেলপুর যাচ্ছিলেন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অটোরিকশা ছিনতাইয়ে ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে আক্কেলপুর-তিলকপুর সড়কের কাদোয়া বটতলী এলাকায় রশি ধরে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটকায় দুর্বৃত্তরা। তারা চালকদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে যায়। চালকদের মধ্যে একজন কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে অন্য দুজনের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেন। এরপর দুজন জাফরপুর বাজার ও অন্যজন তিলকপুরে চলে আসেন। তাঁরা ঘটনাটি নৈশপ্রহরী ও স্থানীয় লোকজনকে জানান। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে চাকু ও দড়ি পড়ে থাকতে দেখেন।
ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি নিজেই কাঁচামালের ব্যবসা করি। অটোরিকশায় পাঁচ মণ বেগুন ও এক ব্যাগ লাউ পাইকারি বিক্রি করতে ভোরে নওগাঁ যাচ্ছিলাম। ফজরের আজানের পর আক্কেলপুর-তিলকপুর সড়কের কাদোয়া বটতলী আসার পর রশি ধরে আমার অটোরিকশা থামায় একদল দুর্বৃত্ত। তারা আমাকে মারধর করে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তারা আমাকে সড়কের নিচে নিয়ে ফেলে রাখে। সেখানে একইভাবে আমাদের গ্রামের খলিলুর রহমান ও অপরিচিত আরেকজন ছিলেন। আমার ও খলিলুরের অটোরিকশায় বেগুন ছিল, অন্যটিতে তুষ ছিল। দুর্বৃত্তরা বেগুন ও তুষ ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। দুর্বৃত্তরা যাওয়ার পর অনেক চেষ্টার পর হাতের বাঁধন খুলতে পারি। পরে অন্য দুজনের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিই।’
রামশালা গ্রামের আবদুল করিম বলেন, ‘কাদোয়া বটতলীতে রশি দিয়ে পথ রোধ করে তিনজন অটোরিকশাচালককে মারধর করে তাঁদের বেঁধে তিনটি অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে চাকু ও দড়ি পড়ে থাকতে দেখেছি।’