ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর রাজিয়া আক্তার (৩০) নামের এক নারীর মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরনিলক্ষ্মীয়া ইউনিয়নের সাথীয়াপাড়া এলাকায় ওই নারীর বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া রাজিয়া আক্তার চরনিলক্ষ্মীয়া উজানপাড়া গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের মেয়ে। নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। রাজিয়া মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেন স্বজনেরা জানিয়েছেন।
আম্বিয়া খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার দুপুরের পর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন রাজিয়া। আশপাশে অনেক স্থানে খোঁজ করেও মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর সালোয়ার–কামিজ পরা ছিল। কিন্তু লাশ উদ্ধারের সময় কাপড় পাওয়া যায়নি। তাঁর ধারণা, দুর্বৃত্তরা মেয়েকে হত্যার পর লাশ গুম করতে চেয়েছিল।
এলাকাবাসী জানান, চরনিলক্ষ্মীয়া উজানপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম ও তাঁর ভাইয়ের জমি থেকে মাটি বিক্রি করায় সেখানে গভীর পুকুর হয়েছে। পুকুরের এক পাশের মাটি সরে গেলে ওই নারীর লাশ বেরিয়ে আসে। আজ সকালে স্থানীয় কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তার আগে স্বজনেরা লাশটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ওই নারীর বিয়ে হলেও স্বামীর সংসার করা হয়নি। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁকে নির্যাতন করে হত্যার পর কেউ লাশ মাটিচাপা দিতে পারেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করেছেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিখোঁজ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।