নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নামফলক উঠিয়ে কক্ষের দরজায় তালা ঝোলানো হচ্ছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায়
নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নামফলক উঠিয়ে কক্ষের দরজায় তালা ঝোলানো হচ্ছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায়

নান্দাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রের কক্ষে তালা দিলেন সমন্বয়কেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ওরফে শাহান ও পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়ার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গেলে তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় অবস্থিত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভিড় করেছেন। কার্যালয়ের বাইরে থাকা কয়েকটি চেয়ার ভেতরে ঢুকিয়ে কক্ষের দরজায় তালা মারতে দেখা যায় কয়েকজন ছাত্রকে।

সেখানে থাকা মো. সালমান আহমেদ নামের একজন সমন্বয়ক প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম হচ্ছেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ১৭টি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাই তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কার্যালয় থেকে বের করে তাঁর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলনকক্ষের সামনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য এ এফ এম আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি কার্যালয়ে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য তাঁরা এখানে এসেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কোনো নির্দেশনা না আসায় তিনি আজ রোববার অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্ররা তাঁকে বের করে দিয়েছেন।

এদিকে সকালে নান্দাইল পৌরসভা ভবনে গিয়ে মেয়রের কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়ার। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রোববার কার্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান তাঁর কক্ষের দরজায় তালা ঝোলানো। এটি দেখার পর তিনি বাসায় চলে আসেন।