নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মাহমুদার রহমান (৩৭) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনছুর আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
মাহমুদার রহমান জলঢাকা উপজেলার আফান উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে জলঢাকা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন আসামি মাহমুদার রহমান। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন তিনি। ঘটনার এক দিন পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মাহমুদার রহমানের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জলঢাকা থানার পুলিশ। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি রমেন্দ্র বর্ধন। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী লায়লা আঞ্জুমান আরা ও হারেস মর্তুজা। পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্র থেকে নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আবদুল লতিফ।
কিশোরীর বড় ভাই বলেন, দেরিতে হলেও এই রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। তিনি দণ্ড পাওয়া আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতের রায় কার্যকর করার দাবি জানান। তিনি বলেন, মামলার বাদী ছিলেন বাবা। তিনি ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মারা যান। বেঁচে থাকলে এই রায়ে তিনি খুশি হতেন।