ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপল‌ক্ষে সাংবা‌দিক‌দের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান। ছবি - আজ সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তোলা
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপল‌ক্ষে সাংবা‌দিক‌দের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান। ছবি - আজ সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তোলা

নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে বান্দরবানের দুর্গমে ভিটামিন এ প্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঝুঁকি

বান্দরবানে তিন উপজেলার দুর্গম কিছু এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কর্মসূচি পরিচালনা করা নিরাপত্তাহীন মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দুর্গম এলাকাগুলোতে লোকজন পাওয়া যাবে কি না, আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আগামী ১ জুন শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর কর্মসূচি শুরু হবে। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এমন নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান ভিটামিন এ প্লাস কর্মসূচি পরিচালনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, জেলার সাতটি উপজেলায় শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর মোট ৮৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশই দুর্গম এলাকায়। এই দুর্গম কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কেএনএফের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আবার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকাগুলোতে গেলেও পাড়ায় লোকজন পাওয়া না–ও যেতে পারে। এ জন্য শতভাগ ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর এবারের কর্মসূচি কিছুটা চ্যালেঞ্জে পড়েছে।

রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা (ইউএইচএফপিও) জানিয়েছেন, রুমার ৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি, থানচি এবং রোয়াংছড়িতে আটটি করে ১৬টি কেন্দ্রে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে।

রুমার ইউএইচএফপিও আবদুল্লাহ আল হাসান জানিয়েছেন, বম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ঝুঁকি বেশি। আবার অনেক বম পাড়ায় লোকজনও পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় কর্মসূচি নিরাপদে পরিচালনার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। থানচির ইউএইচএফপিও ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, থানচিতে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে এমন কেন্দ্র আটটি। তবে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ছাড়াও অতি দুর্গম আরও ২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে দুই-তিন দিন হেঁটে পৌঁছানো বড় চ্যালেঞ্জ।