এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন অপর তিন বন্ধু

নিহত তাজিমের স্বজনদের আহাজারি।সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে গভীর রাতে ঘুরতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন অপর তিন বন্ধু। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার খালিয়া এলাকায় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে একসঙ্গে জানাজা শেষে তিন বন্ধুকে দাফন করা হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বিজয়পাশা মোল্লা ফিলিং স্টেশন এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু দুর্ঘটনার শিকার হন।

নিহত তিন বন্ধু হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের ডাবলু শেখের ছেলে ও খালিয়াজুড়ি ইউনাইটেড একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজিম শেখ (১৬), একই গ্রামের শোকর শেখের ছেলে ও খালিয়াজুড়ি ইউনাইটেড একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জামির শেখ (১৭) এবং ইছাখালী গ্রামের শুকুর সরদারের ছেলে হাসান সরদার (১৮)।

নিহত তাজিম শেখের চাচা বাসার শেখ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ছেলে (তাজিম) এবার ইউনাইটেড একাডেমি খালিয়ার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত রাতে তাঁরা তিন বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় আমার ভাই।’

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে অপর তিন বন্ধু জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে গোপালগঞ্জ শহরে বেড়াতে এসেছিলেন। রোববার গভীর রাতে শহর থেকে মোটরসাইকেলে খালিয়া এলাকায় ফিরছিলেন তাঁরা। বিজয়পাশা মোল্লা ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলের। এতে মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে জামির শেখ মারা যান। আহত অপর দুই বন্ধু তাজিম ও হাসানকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাজিম শেখ ও হাসান সরদার মারা যান।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক খান শরিফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান জামির শেখ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসীন অবস্থায় মারা গেছেন অপর দুই বন্ধু।