কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় রুবেল মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেলে রুবেল মিয়া তাঁর পাশের গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে রুবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন রাতে গ্রামের বাজারে রুবেলকে পেয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে রাজারহাট থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে ওই কিশোরীর বাবা রাজারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ওই মামলায় রুবেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহিল জামান বলেন, ‘সোমবার রাতে জনগণ ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত আমরা ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। ধর্ষণের কারণে মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সোমবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শরীরে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।’
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষক তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর তাকে ঘরের বাইরে থেকে শিকল দিয়ে আটকিয়ে রাখে। তারপর রাতের অন্ধকারে ঢাকায় পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জনগণ তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। আমার মেয়ে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছে। এখনো তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিচার চাই।’
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীনুর রহমান জানান, কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। আগামীকাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষ হলে তবেই ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।