মুরাদ ভূঁইয়া
মুরাদ ভূঁইয়া

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নান্দাইলে লিফলেট বিতরণের সময় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর লিফলেট বিতরণের সময় ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নান্দাইল পৌর শহরের চণ্ডীপাশা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পশ্চিম পাশের সড়কে মুরাদ ভূঁইয়া (১৭) নামের ওই কিশোর প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত মুরাদ ভূঁইয়া নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার মো. তফাজ্জল হোসেনের ছেলে। সে নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. এমদাদুল হক ভূঁইয়ার (আনারস প্রতীক) কর্মী ছিলেন। তরুণের মৃত্যু সংবাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছার পর সেখানে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরাদ ভূঁইয়া আজ শুক্রবার বিকেলে নতুন বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ কিছু তরুণের সামনে পড়লে উভয় পক্ষে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ ভূঁইয়াকে সেখানে প্রথমে চড়থাপ্পড় মারা হয়। পরে ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি।

এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর উত্তেজিত কিছু লোক নান্দাইল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সালামের কার্যালয় ভাঙচুর করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুরাদ ভূঁইয়াকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, লিফলেট বিতরণের সময় মুরাদের সঙ্গে তাঁর কয়েকজন ভাতিজা ছিলেন। নিহতের মরদেহ দেখার জন্য তিনি এখন হাসপাতালে যাচ্ছেন। বিস্তারিত পরে বলতে পারবেন।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে এমদাদুল হক ছাড়াও আরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) ও নাজিমউল্লাহ (মোটরসাইকেল)। তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে দেওয়ার মতো কোনা তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তবে ঘটনার পর পর পুলিশ মাঠে নেমে তদন্ত শুরু করেছে। যাদের নাম পাওয়া গেছে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করার পর ময়নাতদন্ত করার জন্য কোতোয়ালি থানার পুলিশকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।