বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে এখনো তিন দিন বাকি। তবে ইতিমধ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। সকাল থেকেই ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মাঠে প্রবেশ করছেন তাঁরা।
তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন জানুয়ারির ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। আর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন জানুয়ারির ২০, ২১ ও ২২ তারিখ। এই হিসেবে এখন যাঁরা মাঠে প্রবেশ করছেন, তাঁরা সবাই মাওলানা জুবায়েরপন্থী।
আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের চারপাশের বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে মাঠে প্রবেশ করছেন। তাঁদের কারও হাতে ব্যাগ, কারও মাথায় গাট্টি–বোঁচকা। বেশিরভাগ মুসল্লি এসেছেন দলের সঙ্গে। মাঠে প্রবেশের পর তাঁরা দলবেঁধে নিজেদের নির্ধারিত (খিত্তা) জায়গায় অবস্থান নিচ্ছেন।
টঙ্গীর বাটাগেট এলাকায় কথা হয় কিশোরগঞ্জ থেকে আসা একদল মুসল্লির সঙ্গে। তিন বছর পর এবার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাঁরা বেশ উচ্ছ্বসিত। ষাটোর্ধ্ব শুক্কুর আলী বলেন, ‘অনেক দিন পর ইজতেমা হচ্ছে। এবার জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই আগেভাগেই চলে আসছি। সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে।’
জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ের দ্বায়িত্বে থাকা জহির ইবনে মুসলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার ইজতেমা নিয়ে আমাদের সাথীরা খুবই আগ্রহী। তাই অনেকে আজ থেকেই আসতে শুরু করেছেন। তবে কাল বুধবার থেকে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মাঠ ভরে যাবে।’
মাঠে মুসল্লিদের পাশাপাশি পুরো এলাকায় আজ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠের ভেতর বিদেশি কামরার সামনে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কথা হয় গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক মাঠের দিকে নজর রাখছে। সুশৃঙ্খলভাবে দুপক্ষ ইজতেমা পালন করবেন বলে আশা করছেন তিনি।