বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব খাটানো ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। অবাধ, সুষ্ঠু, প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত না হলে ভোট বর্জনের হুমকিও দিয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন।
গতকাল রোববার বিকেলে বগুড়া প্রেসক্লাবে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই তা প্রত্যাহারের জন্য নানা চাপ ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন মিনহাদুজ্জামান ও তাঁর কর্মীরা। নির্বাচনী মাঠ না ছাড়ার কারণে প্রচারণায় বাধা প্রদান ছাড়াও মিনহাদুজ্জামানের আনারস প্রতীকের ব্যালটে প্রকাশ্য সিল মারতে ভোটারদের চাপ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
মিনহাদুজ্জামান বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাডার দিয়ে প্রচারণায় হামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন বলেন, আনারস প্রতীকের কর্মীরা গত ৩০ এপ্রিল উপজেলার চারালকান্দিতে মোটরসাইকেলের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। ৩ মে উপজেলার দীঘলকান্দিতে মোটরসাইকেলের উঠান বৈঠকে হামলা চালিয়েছেন। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। রোববারের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি ফেরানো ছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ব্যর্থ হলে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে যখনই অভিযোগ করেছেন, তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কেউ নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।