কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠানো হয়েছে। গতকালই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘পিডিএফ ফাইল করে রাতেই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জানাবে। তবে যে সিদ্ধান্তই আসুক, সেটাকে স্বাগত জানাব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত যারা আছে, সবার সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাতে মোটামুটি তাঁর (ফুলপরী) সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, এর কিছুটা সত্যতা আমরা পেয়েছি। এ কারণে আমরা ওইভাবে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এখন কেন্দ্র (কেন্দ্রীয় কমিটি) বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেবে।’
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সি কামরুল হাসানকে আহ্বায়ক করে দুই সহসভাপতি বনি আমিন ও রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনকে কমিটির সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।