শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মেঘনা নদীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে কোদালপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন শাহানা আক্তার (৫০) ও তাঁর মেয়ে জলি আক্তার (২৬)। তাঁরা ঢাকার নারিন্দা এলাকার বাসিন্দা। একটি বিয়ের কথা চূড়ান্ত করতে তাঁরা মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে একটি চরে যাচ্ছিলেন।
গোসাইরহাট থানা সূত্র জানায়, গোসাইরহাটের কোদালপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে একটি ট্রলারে করে ১১ জন যাত্রী মেঘনার চরের মাঝেরচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারটি মেঘনা নদীর মাঝে পৌঁছালে স্রোত ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়।
ট্রলারে থাকা ১১ যাত্রীর মধ্যে সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের মধ্যে চার নারী ও চার পুরুষকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসক দুই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুষ্পেন দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার নারিন্দা এলাকা থেকে কয়েক ব্যক্তি বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করতে গোসাইরহাটের মাঝেরচর এলাকায় কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাঁদের বহন করা ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন সাতজনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে দুই নারী মারা গেছেন। আর তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীয়তপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নেই। আমরা ফরিদপুরে খবর দিয়েছি। তারা এলে নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। তবে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আরেকটি ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছে।’