কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মজিবর রহমান
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মজিবর রহমান

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের (৪৫) ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এতে তাঁর হাত ও পা ভেঙে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মজিবর একই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যানও।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। ঘটনাস্থল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মজিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও তিনি। গ্রামে ২০১২ সাল থেকেই শামীম মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলে আসছে। সামাজিক এই দ্বন্দ্বে এর আগেও কয়েকবার মারামারি হয়েছে। শামীম যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আজ সকালে মজিবর রহমান তাঁর খামারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় গ্রামের সড়কে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন শামীম। শামীমের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলাকারী ব্যক্তিরা তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যান। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত মজিবরের ভাই শহিদুল রহমান বলেন, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক হাত ও এক পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে। মামলারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে শামীম মণ্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ জন্য তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

খোকসা থানার ওসি আননুর যায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মজিবরের ওপর সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছেন। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।