সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় গুটিবসন্তে আক্রান্ত অসুস্থ গরু গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন কসাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৬০ কেজি মাংস জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মাংসের দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরনগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই তিন কসাই হলেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের মোজারুল ইসলাম (৩৬), কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মিলন সরদার (৩৪) ও মুনসুর আলী সরদার (৫৫)।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গাজী ফারুক হোসেন বলেন, ওই তিনজন দীর্ঘদিন ধরে গরু কিনে জবাই করে জিরনগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে তাঁরা বেজুয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের কাছ থেকে একটি অসুস্থ গরু ৯ হাজার টাকায় কিনে নেন। ওই গরুটি দুই সপ্তাহ ধরে গুটিবসন্তে আক্রান্ত ছিল। পরে গরুটি জবাই করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেই মাংস জিরনগাছা বাজারে বিক্রি করতে থাকেন তাঁরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ আলম বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের জানালে একপর্যায়ে ক্রেতা ও জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জনতা মাংসের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান তিন মাংস ব্যবসায়ী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী। তিনি মাংসের দোকান থেকে ১৬০ কেজি মাংস জব্দ করেন। পরে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাংসগুলো কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। মাংসের দোকান সিলগালা করার পাশাপাশি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত পাকা চাতাল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহার আলী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।