আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে চুরি-ডাকাতি থাকবে আর দুর্ভিক্ষ থাকবে না, এটা তো হয় না

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে চুরি থাকবে, ডাকাতি থাকবে আর দুর্ভিক্ষ থাকবে না, এটা তো হয় না। দুর্ভিক্ষ থাকতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দুর্ভিক্ষ ২০২৩ সালে হবে” আমরা কিন্তু বলিনি। এই দেশের জনগণ দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার আগেই হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলনে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। জনগণের মূল্যায়ন আজ নেই। ভোট তো আজ দেশে নেই। ১৫ বছর আগে যাঁরা ভোটার হয়েছেন, তাঁরা বলছেন, ‘নিজের ভোট তো দিতে পারলাম না।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দল প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁকে হত্যা করলেই বিএনপি শেষ। পরবর্তী সময় নেতৃত্বে এলেন খালেদা জিয়া। তিনি দলকে লালন করে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করেছেন। এই দলকে বারবার বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ, শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম ও ওবায়দুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন প্রমুখ।

১৩ বছর পর আজ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে শহরের ভেতর সম্মেলন করার জন্য একাধিক স্থানের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। তাই মূল শহরের বাইরে লৌহজং নদের পশ্চিম প্রান্তে পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, ২ হাজার ৩২৩ জন কাউন্সিলরের ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।