কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে মাজু ইব্রাহীম নামের এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গত শুক্রবার কমিটি ঘোষণার পরপরই নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মাজু ইব্রাহীম লালমনিরহাট সরকারি কলেজের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়।
এর আগে শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরে ৬ মাসের জন্য ২৩১ সদস্যবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেলার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়।
কমিটিতে আবদুল আজিজকে আহ্বায়ক, ফয়সাল আহমেদকে সদস্যসচিব, সাদিকুর রহমানকে মুখ্য সংগঠক ও জান্নাতুল তহুরাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৮ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৩২ জনকে সংগঠক ও ১৬৫ জনকে সদস্য করা হয়। কমিটিতে চিলমারী উপজেলার ১১ জন সদস্য আছেন। মাজু ইব্রাহীম ওই কমিটির সদস্য ছিলেন।
ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে মাজু ইব্রাহীম লেখেন, ‘আমি মাজু ইব্রাহীম, সদ্য প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। আমি ব্যক্তিগত কারণে সদস্যপদ থেকে সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি বা সরে যাচ্ছি।’
জানতে চাইলে মাজু ইব্রাহীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সামনে পরীক্ষা। পড়াশোনার চাপ আছে। পারিবারিক কারণে এলাকার বাইরে থাকতে পারি ও একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার চিন্তা করছি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছি। প্রয়োজন হলে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে কোথায় কী পোস্ট করেছেন, তা তাঁর জানা নেই। কেউ সাংগঠনিকভাবে এখনো লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাজু ইব্রাহীম কমিটি দেওয়ার আগে আগ্রহ দেখিয়ে নাম জমা দিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়। এখন থাকতে না চাইলে কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।