খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা দুটি পাটের গুদাম আছে। কাল শুক্রবার ওই গুদাম দেখতে সড়কপথে খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে পুরো খুলনা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খুলনার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। এ জন্য খুলনার কোনো নেতা-কর্মীর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই। বেলা তিনটার দিকে তিনি সড়কপথে গোপালগঞ্জ হয়ে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তাঁর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাটের গুদাম পরিদর্শন করবেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিতে খুলনায় এসেছিলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি রাষ্ট্রীয় নয়। সে কারণে তাঁর সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীরা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর দুটি পাটের গুদাম ছিল। প্রধানমন্ত্রী সেটা দেখতে খুলনায় আসছেন। রাতে গোপালগঞ্জে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে পরদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোল ঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গুদাম ও এককক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের ওই জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরোনো সেই পাট গুদাম ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে বানানো হয়েছে রেস্টহাউস। গুদামসংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।