চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবলীগের সাবেক নেতা খাইরুল আলম ওরফে জেম হত্যার ৪৩ ঘণ্টা পার হলেও থানায় মামলা হয়নি। খাইরুল আলমের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশে হত্যা মামলার আসামি তালিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের নাম না রাখার জন্য বলছে। এতে তাঁরা রাজি হননি। মোখলেসুর রহমানের নামসহ মামলা না নেওয়া হলে তাঁরা আদালতের আশ্রয় নেবেন।
খাইরুল আলমের ছোট ভাই মাহবুবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতাই হচ্ছেন মেয়র মোখলেসুর রহমান। অথচ পুলিশ বলেছ, মোখলেসুর রহমানের নাম বাদ দিয়ে এজাহার লিখে আনেন। আমরা এতে রাজি হইনি। আমরা বলেছি, মোখলেসুর রহমানের নামসহ মামলা না নেওয়া হলে আমরা আদালতে যাব। পুলিশ যদি মোখলেসুর রহমানের নামসহ মামলা নেওয়ার জন্য ডাকে, তবে থানায় গিয়ে মামলা করব। শুক্রবার দুপুরে ডাকার কথা আছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ বলেন, এ অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁদের ইচ্ছেমতোই মামলা করতে পারবেন।
গত বুধবার বিকেলে শহরের উদয়ন মোড়ে একটি রেস্তোরাঁয় ইফতারসামগ্রী কিনতে যান খাইরুল আলম। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে রেস্তোরাঁ থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গত বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদ। তিনি তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খাইরুলকে মেরে ফেলার ও ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও স্থানীয় নেতা লিটন ১০ জনকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় প্রথম ছিল খাইরুলের নাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ড।’
অভিযোগের ব্যাপারে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।