রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অপসারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে এ দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এ–সংক্রান্ত কিছু প্রমাণ তাঁরা গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। এ ছাড়া তাঁর দায়িত্বে অবহেলার কারণে সেশনজট এবং বিভাগের সভাপতি থাকাকালে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
লিখিত অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলক ফল বিপর্যয় ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের কারণে বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা নিজেদের সঠিক মূল্যায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীকে ক্লাসরুম, ভাইভা বোর্ডের সদস্য, সেকেন্ড এক্সামিনার বা পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
এ ব্যাপারে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। শিক্ষকদের কারণেই সেশনজট হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ইমেজ খারাপ করার জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভাগের অর্থ ব্যয়ে শুধু আমি একা নই, অন্যান্য শিক্ষকও ছিল। আমি তো শুধু চেক স্বাক্ষর করেছি। আমিও এর সঠিক তদন্ত চাই।’
বিভাগের বর্তমান সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে তাঁদের দাবির বিষয়ে জানিয়েছেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে লিগ্যাল সেলের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।