চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ার পথেরহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মদ খেয়ে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিয়ের আসর থেকে বরসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল শুক্রবার সকালে বর–কনে ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে পুলিশ আটক পাঁচ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ ও কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াপাড়া পথেরহাটের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাতের এই অনুষ্ঠানে সহযাত্রীদের নিয়ে বর এসেছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা থেকে। প্রায় ১ হাজার ১০০ বরযাত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানও শেষ হয়। এরপর বর ও তাঁর বন্ধুরা অনুষ্ঠানে নাচ–গানের সঙ্গে মদ পান করতে থাকেন।
গভীর রাত পর্যন্ত মদপানের কারণে অনেকে মাতলামি শুরু করেন। ভোরের দিকে অনুষ্ঠান শেষ করতে বললে বর ও তাঁর বন্ধুরা কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক সঞ্চয়ন বড়ুয়াকে মারধর করেন। কমিউনিটি সেন্টারের চেয়ার–টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় মাতাল বরসহ পাঁচজনকে। কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক সঞ্চয়ন বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও বর–কনের পরিচয় দেননি। তিনি বলেন, মাতলামি করে তাঁর কমিউনিটি সেন্টারে ৩০ থেকে ৪০টি চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করেছেন তাঁরা। তাঁকেও মারধর করেছেন। এ ঘটনায় আহত হন ৮ থেকে ১০ জন।
জানতে চাইলে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) টুটুন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর বর–কনেপক্ষ ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। এ কারণে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।