পিরোজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

নিহত ইব্রাহীম সরদার
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইব্রাহীম সরদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ইব্রাহীম সরদার উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের দুলাল সরদারের সঙ্গে জমি নিয়ে একই বংশের ইব্রাহীম সরদারদের বিরোধ ছিল। গতকাল সকাল সাতটার দিকে দুলাল সরদার বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে থাকা বাগান থেকে সুপারি পাড়তে যান। এ সময় দুলাল সরদারকে সুপারি পাড়তে বাধা দেন ইব্রাহীম সরদার। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুলাল সরদার ঘরে থেকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে ইব্রাহীম সরদারের বুকে জখম করেন। আহত ইব্রাহীম সরদারকে স্বজনেরা উদ্ধার করে ইন্দুরকানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। এরপর তাঁকে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ইব্রাহীম সরদারের ছেলে আল আমিন সরদার গতকাল দুপুরে বাদী পাঁচজনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। আজ রোববার সকালে থানা-পুলিশ কাউখালী উপজেলা থেকে আত্মগোপনে থাকা দুলাল সরদার ও তাঁর ভাই বাবুল সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গতকাল পুলিশ দুলাল সরদারের স্ত্রী নূর জাহান বেগম, বাবুল সরদারের স্ত্রী রহিমা বেগম ও দুলালের বোন হনুফা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

ইব্রাহীম সরদারের ছেলে আল আমিন সরদার বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমিতে দুলাল সরদার সুপারি পাড়তে গেলে আমার বাবা নিষেধ করেন। সুপারি পাড়তে নিষেধ করায় আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে।’

ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ইব্রাহীম সরদারের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আজ সকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। আহতের ঘটনায় করা মামলাটি আদালতের অনুমতি নিয়ে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।