ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আউলিয়ানগর রেলস্টেশনে দেওয়নাগঞ্জ লোকাল ট্রেন স্টপেজের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অরোধ করেছে জনতা। ট্রেন আটকে রাখায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকামুখী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি এলে সেটি আটকে দেন স্থানীয় লোকজন।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার নামে একটি লোকাল ট্রেন স্টপেজের দাবি না মানায় গতকাল শনিবার রাতে এলাকায় মাইকিং করে অবরোধ করার খবর ছড়ানো হয়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে সব লোকাল ট্রেন ত্রিশালের আউলিয়ানগর স্টেশনে থামলেও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লোকাল কমিউটার ট্রেনটি থামে না। ট্রেনটি সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে আউলিয়ানগর হয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে এবং বিকেলে চারটায় ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চরাঞ্চলের এলাকাটি থেকে শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহ শহরের স্কুল-কলেজে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় ধরে ট্রেনটি চলাচল করে। কিন্তু ট্রেনটি না থামার কারণে শিক্ষার্থীদের বাড়তি খরচ করে সড়কপথে কিংবা মেস ভাড়া করে শহরে থাকতে হয়। এ স্টেশনে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সে দাবি মানা হচ্ছিল না।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আবুল মুনসুর বলেন, ট্রেনটি শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য উপযুক্ত সময়ে চলে। কিন্তু স্টপেজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা কষ্ট করছিল। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসীও একত্র হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রেলপথ আটকে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয় আজ। সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনও আউলিয়ানগর স্টেশনে আটকে পড়ে।
১৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ১০ দিনের সময় নিয়েছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ। এর মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। ইউএনও বলেন, সেদিন ট্রেন আটকে থাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও রেলওয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। রেলওয়ের মহাপরিচালক ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানান। ওই অবস্থায় ১০ দিন সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আর এ ব্যাপারে মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্টপেজের দাবিতে স্থানীয় লোকজন আন্দোলন করে আসছিলেন। আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সে কারণে আজ আউলিয়ানগর স্টেশনে ময়মনসিংহগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ও ঢাকাগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় লোকজন।