গত কয়েক বছরে দেশের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দেবতাখুম। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পর্যটকদের পদচারনায় আবার মুখরিত হবে এই এলাকা
গত কয়েক বছরে দেশের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দেবতাখুম। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পর্যটকদের পদচারনায় আবার মুখরিত হবে এই এলাকা

বান্দরবানের দেবতাখুম থেকে উঠছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকা দেবতাখুম ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ২২ জানুয়ারি থেকে আর থাকছে না। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—ভ্রমণসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা ২২ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তবে পর্যটকদের দুর্গম এলাকায় যাওয়ার আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এর আগে গত বছরের ১৪ মার্চ থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে দেবতাখুমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও উপজেলার অন্য পর্যটন স্পটে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, বান্দরবান জেলার তিন উপজেলার দুর্গম এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)তৎপরতা ও তাদের গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গিগোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের অভিযোগ ওঠে।

দেবতাখুমে যেতে পথে পথে পড়ে অসংখ্য ঝিরি ঝরনা। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পর্যটকদের পদচারনায় আবার মুখরিত হবে এই এলাকা

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথমে জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে ২৩ অক্টোবর থেকে থানচি উপজেলাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে অভিযান চলানো শুরু করে। বিষয়টি র‌্যাবের বিভিন্ন সময়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে। তখন থেকে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তিন উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।