পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ-উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ কে এম সালাহ উদ্দীনসহ ছাত্র উপদেষ্টা ও সব বিভাগের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়েন। তাঁর সহপাঠীরা বলেন, ক্যাম্পাস-সংলগ্ন পাঁচতলাবিশিষ্ট মেসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ভাড়া থাকেন। গত শনিবার রাতে জ্যেষ্ঠ কিছু ছাত্রী মেসে নতুন ওঠা ছাত্রীদের তাঁদের কক্ষে ডাকেন। এ সময় প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী অসুস্থতার জন্য সেখানে যেতে পারেননি। এতেই জ্যেষ্ঠ ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হন। রাত ১১টার দিকে তাঁরা মেয়েটিকে ছাদে নিয়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও মানসিক যন্ত্রণা দেন। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ছাত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মেসে ফিরেছেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে ঘটনার বর্ণনা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেন।
র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা মেয়েটির কথা শুনেছি। সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু ছাত্রীর কথা আমাদের বলেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’