যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ওসমান গণি (৬২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসমান গণি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়ে শোনান। হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে নাটোর জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার উত্তর খাজুরিয়া গ্রামের রোকেয়া বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার বাসুদেবপুর দক্ষিণপাড়ার ওসমান গণির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাঁচ হাজার টাকা যৌতুক নেন তিনি। পরে আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপাচাপি শুরু করেন। ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট রাতে ওসমান গণি শ্বাসরোধ করে রোকেয়া বেগমকে হত্যা করেন। পরের দিন নিহতের ছোট ভাই একাব্বর হোসেন বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় তাঁর দুলাভাই ওসমান গণির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম আসামির বিরুদ্ধে একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।