ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়া থেকে গত ৫ আগস্ট নিখোঁজ হয় কিশোর মো. জিহাদ (১৪)। ঘটনার ৭০ দিন পর গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা-বাবার ওপর রাগ করে বাসা থেকে পালিয়ে ওই হোটেলে কাজ করছিল সে।
জিহাদের নিখোঁজের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা মো. বেলাল হোসেন। জিডিতে বলা হয়েছিল, ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে জিরাবোর বাসা থেকে জিহাদ ও তার বোন ফাতেমা (২) নিখোঁজ হয়। পরে পাশের এক বাসায় শিশুকন্যাকে খুঁজে পেলেও জিহাদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট মা-বাবার ওপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় জিহাদ। সে পরিবারের সঙ্গে সাভারের ইয়ারপুর ইউনিয়নের জিরাবো এলাকার ভাড়া বাসায় থাকত। নিখোঁজের রাতে সে আশুলিয়া এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে। পরদিন টঙ্গী রেলস্টেশনের ভাই-ভাই হোটেলে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। নিখোঁজের পরদিন তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোন চুরি হয়ে যায়। খোয়া যাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
জিহাদের বাবা মো. বেলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে জিহাদ বাসা থেকে হারিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু ছেলেকে খুঁজে পাননি। হাসপাতাল, থানা, মর্গে খুঁজেছেন। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা অলক কুমার টঙ্গী থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অলক কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন ও সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নিখোঁজ জিহাদের বাবা-মা তাদের সন্তানকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। থানায় জিডি করার পর একাধিক কর্মকর্তা জিহাদকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার দুই দিন পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টঙ্গীর একটি হোটেলে কাজ করা অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।