বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ববিরোধের জের ধরে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন এক যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
যুবলীগের এই কর্মীর নাম তৌহিদুল ইসলাম (৪২)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তৌহিদুল বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারি কাজ করেন।
তৌহিদুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘পাঁচ মাস বয়সী শিশুসন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে বাড়ির পাশে বাজারে গেলে দুর্বৃত্তরা আমার স্বামীর ওপর হামলা করে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার সকালে স্থানীয় কামলা বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত তৌহিদুলের বাবা আামির হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের নেতৃত্বে রফিক, হাসিব, আক্কাস ও দুজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমার ছেলের ওপর হামলা করেছে। আমার ছেলে রফিক, হাসিব ও আক্কাসকে চিনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে। তাঁরা পিটিয়ে আমার ছেলের হাত-পা ভেঙে দিছে, ডান পায়ের রগ কেটে দিছে।’
তৌহিদের সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই জানিয়ে তাঁর বাবা বলেন, ‘গেল মেম্বারি (ইউপি) নির্বাচনের সময় আমার ছেলে সাবেক মেম্বার (ইউপি সদস্য) শাহজাহানের পক্ষে কাজ করেনি। সে আসলাম শিকদার ছিন্টুর হয়ে নির্বাচনে কাজ করেছিল। এ নিয়ে শাহজাহান খুবই ক্ষিপ্ত ছিল। সেই জেরেই তারা তৌহিদুলকে মেরে হাত-পা ভেঙে দিছে, পায়ের রগ কেটে দিছে।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিম হাওলাদার বলেন, এলাকায় গ্রুপিং আছে। দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে তৌহিদুল ইসলামের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। সে দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তবে কারা হামলা করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি ইউপি চেয়ারম্যান।
মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান হাওলাদার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক। আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।