সুনামগঞ্জর দিরাই উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনের শরীরে ছররা গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার রাড়ইল গ্রামে আনু মিয়া চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় দুই পক্ষে একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। এই দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই মারামারি, সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় অস্ত্রের ব্যবহার দেখা যায়। আজ আনু মিয়ার পক্ষের দায়ের করা একটি অভিযোগের তদন্তে গ্রামে যায় দিরাই থানা-পুলিশ। পুলিশ গ্রাম থেকে ফেরার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মুহিবুর রহমান চৌধুরী (২৫), আঞ্জু চৌধুরী (২৩), সোহেল চৌধুরী (২৫), জুয়েল চৌধুরী (৪০), আকমল চৌধুরী (৬২), কনর চৌধুরী (৫৫), শুভ চৌধুরী (২৭), ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী (৬৫), জাবেদ চৌধুরী (২৫), তাসিম চৌধুরী (২৮), রাবেল চৌধুরী (২৭), জুবেদ চৌধুরী (৩২)।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘আমরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জনকে পাঠিয়েছি। তাঁদের সবার শরীরেই কমবেশি ছররা গুলির আঘাত রয়েছে।’
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাড়ইল গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’