৫৪ কেজি ওজনের বাগাড়টি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া লবার ঘাটে
৫৪ কেজি ওজনের বাগাড়টি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া লবার ঘাটে

পদ্মায় জালে ধরা পড়ল ৫৪ কেজির বাগাড়

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ৫৪ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন বাগাড় ধরা পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরের জাহাজঘাটের বিপরীতে পদ্মা নদীতে বাগাড়টি ধরা পড়ে। পরে আজ শুক্রবার সকালে বাগাড়টি স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।

নগরের মিজানের মোড় এলাকার জেলে শাহ জামালের জালে বাগাড়টি ধরা পড়েছে। শাহ জামাল বলেন, তিনি জাল নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার পর পদ্মা নদীতে নেমেছিলেন। তাঁর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন জামাল উদ্দিন। রাত দুইটার দিকে তাঁর জালে বাগাড়টি আটকা পড়ে। পরে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় স্থানীয় ব্যবসায়ী বজলুর রহমান মাছটি তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন।

বাগাড় মাছটি নৌকায় তোলা হয়েছে

এ বিষয়ে বজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাগাড়টি নিয়ে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় শ্যামপুর বালুঘাটের লোকজন নিজেরাই খাওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে মাছটি নিয়েছেন। তিনি তাঁদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ দাবি করেছেন। এখন দেখা যাক, তাঁরা কত টাকা দেন।

স্থানীয় যুবক রুহুল আমিন বলেন, তাঁর এলাকায় প্রায় ২০ বছর আগে আবদুর রাজ্জাক নামের এক জেলের জালে ১০২ কেজি ওজনের একটি বাগাড় ধরা পড়েছিল। তারপর এই প্রথম শাহ জামাল একটি বড় বাগাড় ধরেছেন। আজ সকালবেলায় নগরের মিজানের মোড় এলাকায় অনেক মানুষ মাছটি দেখতে ভিড় করেন।

বড় বাগাড়টি দেখতে এসেছেন কেউ কেউ। শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া লবার ঘাটে

বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর তফসিল (২) অনুযায়ী, বাগাড় মাছ সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাগাড় মাছ তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। আইন অনুযায়ী, এই মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী, বাগাড় মাছ মহাবিপন্ন প্রাণী।