মাগুরার শালিখা উপজেলায় অটোরিকশায় (মাহেন্দ্র) বাসের ধাক্কায় দুজন নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় মাগুরা-যশোর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা সবাই মাহেন্দ্রর যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। তাঁদের মাগুরা ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের কালিপদ শিকদারের ছেলে মধু শিকদার (৫০), নারায়ণ চন্দ্র দের স্ত্রী পুষ্পা রানী দে (৪০) ও নিতাই দের স্ত্রী নিরূপা রানী দে (৪৫)। এর মধ্যে পুষ্পা রানী ও নিরূপা রানী একই পরিবারের দুই ভাইয়ের স্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি আছেন মায়া রানী কুন্ডু (৭০), শিল্পী শিকদার (৪০), জ্যোতি দে (২৮) ও জ্যোৎস্না (৭০), নিতাই দে ও মাহেন্দ্রর চালক বাবলু। হতাহতরা সবাই পরস্পরের আত্মীয় ও প্রতিবেশী।
রামনগর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের ওই বাসিন্দারা একটি মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে মাগুরার শ্রীপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ছয়ঘরিয়া গ্রামের হাজাম বাড়ির মোড় এলাকায় পৌঁছালে যশোরের দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি মাহেন্দ্রকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। হাসপাতালে পৌঁছালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার সময় মহেন্দ্রটিতে ১০ থেকে ১১ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
শালিখা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে শুধু অটোরিকশাটি ছিল। ঘটনাস্থলে দুজন নারীর মরদেহ দেখতে পাই। মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।’