ময়মনসিংহে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত আছেন। সম্মেলনে অন্তত পাঁচ লাখ নেতা-কর্মীর সমাগম হবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।
এর আগে আজ সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। সকাল ১০টার মধ্যেই সম্মেলনস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মীর সমাগম দেখা যায়। সম্মেলনে আসা নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগই হলুদ, সাদা, গোলাপিসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট আর টুপি পরে এসেছেন। সম্মেলনস্থলে অনেক নারী কর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
সম্মেলনের আশপাশের সড়ক আওয়ামী লীগের নেতাদের বিলবোর্ড, তোরণ আর ফেস্টুনে ভরে গেছে। নেতাদের ছবিযুক্ত বড় গ্যাসবেলুন উড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। সম্মেলনের জন্য তৈরি করা হয়েছে নৌকার আদলে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। ঢাকা থেকে ডেকোরেশন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এই মঞ্চ তৈরি করেছেন। মঞ্চে ২০০ নেতার জন্য আসন দেওয়া হয়েছে।
তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালিউল্লাহ সকাল ৯টায় সম্মেলনস্থলে এসেছেন। তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ছবিযুক্ত টি–শার্ট পরেছেন। ওয়ালিউল্লাহ বলেন, সম্মেলনে তারাকান্দা থেকে অন্তত ১০ হাজার লোক আসবেন। ১৬টি বাসে তাঁরা নেতা–কর্মীদের নিয়ে এসেছেন। বাস ছাড়া ব্যক্তিগত যানেও অনেক নেতা-কর্মী আসছেন।
নাজনীন আক্তার নামের এক নারী কর্মী বলেন, তিনি ফুলপুর উপজেলা থেকে এসেছেন। একটি সফল সম্মেলনের জন্য তাঁরা অধীর আগ্রহে ছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই দিন সম্মেলনস্থলে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। পরে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া মহানগর কমিটিতে সভাপতি পদে এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোহিত উর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।