বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা

চাঁদার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছেন

চাঁদা দাবি ও আদায়কে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসে করে এসে হামলা করেছেন বলে দাবি করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন তাঁরা ঘটনার ব্যাখ্যাসহ সাতটি দাবি তুলে ধরেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন ও বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকবর মোবিন। তাঁরা বলেন, গত শুক্রবার বরিশালের একজন গরিব বাসচালকের কাছে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সেই চালককে জিম্মি করে সেদিনই ৪০ হাজার টাকা নেন চাঁদাবাজরা। গত মঙ্গলবার রাতে আরও ২০ হাজার টাকা আদায়কালে দুজন চাঁদাবাজ বটতলা এলাকায় এলাকাবাসীর হাতে আটক হন। এলাকাবাসীর অনুরোধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে চাঁদাবাজদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে জানা যায়, চাঁদাবাজ দুজন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসে করে একদল শিক্ষার্থী এসে বটতলায় সাধারণ শিক্ষার্থী এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। বরিশালের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানমাল রক্ষার্থে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে এটা প্রতিরোধ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো হামলাকারীদের সুষ্ঠু বিচার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বহন করতে হবে, বিএম কলেজসহ সব সাধারণ শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও হয়রানি না করা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন শহরে অরাজকতা তৈরি করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা, ভাঙচুরের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আইনের আওতায় আনা ও ভবিষ্যতে এম হামলা হলে এর দায়ভার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে।

জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মো. মুহসিন উদ্দীন, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করেছেন। সভায় আহত সব শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে বিএম কলেজ প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।

এদিকে বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলেজের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন। এতে সব শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীকে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।