সিলেটে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অনেকে পালিয়ে গেলেও ওই এলাকা থেকে দুই নেতাকে আটক করে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে আক্তার হোসেনকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর দাবি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে সরকারি বাহিনী (পুলিশ) হামলা চালিয়েছে। এ সময় ছাত্রদলের এক নেতা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাঁকে আহত অবস্থাতেই পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন, পুলিশের হামলায় নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবরোধের সমর্থনে আজ দুপুরে নগরের সোবহানীঘাট সবজি বাজার এলাকা থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি নিয়ে শাহজালাল উপশহর মোড়ের দিকে যান নেতা-কর্মীরা। এরপর শাহজালাল উপশহর মোড়ের একটু আগে সোবাহানীঘাট এলাকার সড়কে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিচে থেকে দুজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় একজনকে মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় দেখা গেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিকভাবে এবং ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন চালাচ্ছেন। এতে সরকারি বাহিনী নির্বিচার হামলা ও মামলা করছে। রাজপথের আন্দোলন দমনের জন্য নিপীড়ন, নির্যাতন করছে। তবে এতে ভীত না হয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই ফয়সালা করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের ওই নেতার ওপর পুলিশ হামলা চালায়নি। তিনি দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। সোবহানীঘাট এলাকায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে দুজনকে আটক করা হয়েছে।