সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ছুরিকাঘাতে নোমান মাহমুদ ওরফে রুমান মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নোমান দরগাপাশা ইউনিয়নের সিচনী গ্রামের হুসমত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় জামিল আহমদ নামের আরেক যুবক আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কের সিচনী পয়েন্টের সেতুর পূর্ব পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। রাতে নোমান ও জামিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিচনী গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, তিনি সেতুর ওপর বসে ছিলেন। নোমান আক্তাপাড়া বাজার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এসে ঘটনাস্থলে নামেন। সেখানে গাছের সঙ্গে তাঁর নৌকা বাঁধা ছিল। বাড়িতে যাওয়ার জন্য নৌকায় ওঠার সময় দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার ছেলে ফাহিম আহমদ (২৮) ও নাঈম আহমদ (২৪) এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন এসে নোমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তিনি ও এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জামিল আহমদ দৌড়ে গিয়ে নোমানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে নোমান ও জামিল আহমদকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা একটি নৌকায় করে সেখান থেকে চলে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। জামিল আহমদ সেখানে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতে নোমান মাহমুদ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। নোমানের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে।