নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মুখমণ্ডল পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করা গলাকাটা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদ ও ছায়রা খাতুনের ছেলে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ। তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে।
গতকাল দুপুরে মোহনগঞ্জের তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তখন তাঁর নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেছিলেন, হাওরের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, সাইফুলকে গলা কেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে। এ ঘটনায় অন্তর আহমেদ ওরফে শান্ত (২১) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনায় সক্ষম হব।’