সুন্দরবনের শ্যালা নদী থেকে দুই ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ সোমবার দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক বন কার্যালয়ের আওতাধীন শ্যালা নদীর দক্ষিণ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি সন্ধ্যায় মোংলার চাঁদপাই নৌ থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, লাশ দুটি পুরুষের। তাঁদের বয়স ২৫-৩০ বছর। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বেশ কিছু মাছ ধরা ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার জেলেরা নিখোঁজ রয়েছেন। লাশ দুটি নিখোঁজ জেলেদের হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। তাঁদের একজনের পরনে চেক শার্ট এবং অপরজনের পরনে লাল চেক গেঞ্জি ছিল।
চাঁদপাই নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আক্তার মোর্শেদ মুঠোফোনে বলেন, কোস্টগার্ড সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লাশ দুটি তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া কোনো মাছ ধরা ট্রলারের জেলে হয়ে থাকতে পারেন তাঁরা। জোয়ারের সময় হয়তো সাগর থেকে ভেসে শ্যালা নদীতে উঠে এসেছে লাশ দুটি। মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁদের পরিচয় না শনাক্ত না হলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। পরবর্তী সময়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হবে।
এর আগে গতকাল রোববার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গভীর সাগরে ভাসতে থাকা একটি ট্রলারের চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার ওই ট্রলার ১৬ নভেম্বর মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যায়। পরদিন মাছ ধরার সয় ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর তিন দিন ধরে সাগরে ভাসছিলেন ওই জেলেরা।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই জেলেদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলায়। গতকাল সকালে কোস্টগার্ড আউট পোস্ট কচিখালীর নিয়মিত টহল চলছিল। এ সময় সুন্দরবনের কটকা সমুদ্রসৈকতের কাছে ট্রলারটি ভাসতে দেখে তারা। কাছাকাছি পৌঁছালে জেলেরা সাহায্য চেয়ে চিৎকার করেন। কাছে গিয়ে চার জেলেকে উদ্ধার করে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার ও পানি দেয়। পরে কচিখালী নিয়ে আসে। তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।