পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার দুই মামলায় লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ নেতা–কর্মীদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মো. মনির হোসেন (৩৯), আব্দুল মোমিন (৩০), মো. মোতালেব (২৫), ফারুক হোসেন (৪০), ফজলুল করিম (৩৫), ইসমাইল হোসেন (৪০) ও বাবুল হোসেন (৩০)।
গতকাল রাতে শহরে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। যদিও তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হল ও রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও বিএনপির প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে এ্যানিকে প্রধান আসামি করে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ দুই মামলায় ৩ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার মো. সজীব হোসেন (৩০) নামের কৃষক দলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিএনপির নেতাদের দাবি, আন্দোলনের মাঠ থেকে বিএনপিকে উঠিয়ে দিতে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ অবশ্য বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন করা যাবে না। আমাদের এক দাবি—এই সরকারের পদত্যাগ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আর ঘরে ফিরব না।’