কুমিল্লায় মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ও হাত-পা বাঁধা নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ও হাত-পা বাঁধা এক নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম ফাল্গুনকরা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

ওই নিরাপত্তাকর্মীর নাম আবুল হাসেম (৬৫)। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার করোটি চকবাড়ি গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। তিনি ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার ফাল্গুনকরায় মুঠেফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা কোম্পানির টাওয়ার পাহারার কাজ করতেন।

ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিসের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহত আবুল হাসেম ছাড়াও সফিউল্লাহ নামের আরেকজন এখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সফিউল্লাহ ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে হাসেমের হাত-পা বাঁধা, মুখে গামছা ও স্কচটেপ প্যাঁচানো লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন এবং লাশটি উদ্ধার করেন।

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, চুরি করার উদ্দেশ্যে এসে সংঘবদ্ধ চোর চক্র হাসেমকে হত্যা করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার উজ জামান বলেন, নিরাপত্তাকর্মী আবুল হাসেমকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করেছে। টাওয়ারের কিছু ব্যাটারি নির্দিষ্ট স্থান থেকে কিছুটা দূরে এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আজ দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, নিহত নিরাপত্তাকর্মীকে কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে হত্যার সময় ধারালো কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। চুরি হয়েছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রবি আজিয়াটা কোম্পানির লোকজন এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।