গত রোববার বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের মতো ময়মনসিংহ জেলার সব বিদ্যালয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার কোনো বিদ্যালয়েই শতভাগ বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। তবে বই উৎসবের দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত একটি করে নতুন বই দেওয়া হলেও ময়মনসিংহের চারটি উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীই পায়নি কোনো বই।
ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ধোবাউড়া, তারাকান্দা ও মুক্তাগাছা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই পৌঁছায়নি। তবে আজ মঙ্গলবার ফুলবাড়িয়া বাদে বাকি তিনটি উপজেলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী শতভাগ বই পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলার মোট ২১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬০০। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর জন্য মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০টি বইয়ের চাহিদা পাঠানো হলেও কোনো বই পৌঁছায়নি।
প্রথম দিনে বিতরণ করা মোট বইয়ের সংখ্যা জানা না গেলেও ৫০ শতাংশ বই প্রথম দিনে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী আমিরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, খুব দ্রুতই ষষ্ঠ শ্রেণির বই ফুলবাড়িয়ায় পৌঁছাবে। বই না পাওয়া গেলেও ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু করেছি আমরা।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা সব শিক্ষার্থীর জন্যই বইয়ের চাহিদা পাঠিয়েছি। তবে ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই পাইনি।’ মুক্তাগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, আজকেও মুক্তাগাছায় নতুন বই এসেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির বইও চলে আসবে দ্রুতই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার ময়মনসিংহের সব বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছায়নি। তবে বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো না কোনো নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ময়মনসিংহ জেলায় মোট ৭৮ লাখ পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আছে। প্রথম দিনে বিতরণ করা মোট বইয়ের সংখ্যা জানা না গেলেও ৫০ শতাংশ বই প্রথম দিনে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কার্যালয়। এ ছাড়া প্রাথমিকে মোট ৩৭ লাখ ৭২ হাজার বইয়ের চাহিদা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্কুলে রোববার বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৬০০ বই, যা মোট চাহিদার ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।